ভারতের রাষ্ট্রপতি P2
প্রথম পার্টের পর থেকে
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা
ও কাজ : 1 কার্যনির্বাহী ক্ষমতা (EXECUTIVE পাওয়ার) 2 আইনপ্রনয়ন সংক্রান্ত ক্ষমতা
3 আর্থিক ক্ষমতা 4 বিচারবিভাগীয় ক্ষমতা 5 কূটনীতিক ক্ষমতা 6 সামরিক ক্ষমতা ৭ জরুরি
অবস্থা সংক্রান্ত ক্ষমতা
1 কার্যনির্বাহী
ক্ষমতা (EXECUTIVE পাওয়ার): সমস্ত প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির নাম গ্রহণ করা
হয়| সরকারী কাজকর্ম সুচারু ভাবে করার জন্য তিনি নিয়ম নীতি তৈরী করতে পারেন|
তিনি প্রধানমন্ত্রী
সহ মন্ত্রিসভাকে নিয়োগ করেন, রাষ্ট্রপতির ইচ্ছাক্রমেই তারা পদে আসীন থাকেন| তিনি
সমস্ত সাংবিধানিক সংস্থার পদগুলিতে নিয়োগ করেন|যেমন ইলেকশন কমিশন, UPSC, অ্যাটর্নিজেনারেল,
ফিনান্স কমিশন ইত্যাদি| কোনো বিষয়ে কোনো মন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেও, রাষ্ট্রপতি,
প্রধানমন্ত্রীকে সেই সিদ্ধান্তটিকে পুরো মন্ত্রিসভার বিচারের জন্য পুনঃস্থাপন করতে
বলতে পারেন| কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে তাঁর নাম শাসন করা হয়, কোনো এলাকা
তপশীলভুক্ত কিনা, তার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেন|
2 আইনপ্রনয়ন
সংক্রান্ত ক্ষমতা: তিনি সংসদের অধিবেশন আহ্বান (summon) ও সমাপ্ত
(prorogue) করেন, লোকসভা ভঙ্গ(dissolve) করতে পারেন, তিনি উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশন(joint
sitting) আহ্বান করতে পারেন| যৌথ অধিবেশনে লোকসভার স্পিকার সভাপতিত্ব করেন| লোকসভা
নির্বাচনের পর প্রথম অধিবেশন তিনি ভাষণ দেন| তিনি 12 জনকে রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে
মনোনীত (nominate) করেন, যাদের বিশেষজ্ঞান, বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে বিজ্ঞান, কলা ও
সমাজসেবাতে| তিনি লোকসভাতে 2 জনকে মনোনীত করেন, এংলোইন্ডিয়ান কমিউনিটি থেকে| তিনি
ইলেকশন কমিশনের সহযোগিতায় সংসদের কোনো সদস্যের অযোগ্যতা (disqualification)বিচার
করেন| সংসদে বাজেট ও কোনো রাজ্যের সীমানা পরিবর্তন করতে রাষ্ট্রপতির পূর্বঅনুমতি
প্রয়োজন|
সংসদে কোনো আইন খসড়া
পাস করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়| সম্মতি দিতে পারেন, এক্ষেত্রে বিলটি আইনে
পরিণত হয়| তিনি বিলটি আটকে রাখতে পারেন (অ্যাবসলিউট ভেটো)| তিনি বিলটি
পুনর্বিবেচনার জন্য আইনসভায় ফেরত পাঠাতে পারেন (যদি বিলটি অর্থবিল না হয়)(suspensive
ভেটো)|যদি দ্বিতীয়বারের জন্য বিলটি পাস করে তাঁর কাছে পাঠানো হয়, তবে রাষ্ট্রপতি
সেই বিলটিতে সম্মতি দিতে বাধ্য|
সংসদ বিরতিতে থাকা
অবস্থায় রাষ্ট্রপতি দেশের সার্থে অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারেন| আবার সেটা তুলেও
নিতে পারেন| তিনি বিভিন্ন সাংবিধানিক সংস্থার রিপোর্টগুলিকে সংসদে উপস্থাপন করেন|
3 আর্থিক ক্ষমতা:
রাষ্ট্রপতির পূর্বসম্মতিক্রমেই অর্থবিল সংসদে উপস্থাপন করা হয়| তাঁর নামেই বাজেট
পেশ হয়| consolidated ও contigency fund থেকে তাঁর অনুমতিক্রমে টাকা তোলা হয়| তিনি
প্রত্যেক 5 বছরে ফিনান্স কমিশন গঠন করেন|
4 বিচারবিভাগীয়
ক্ষমতা: তিনি সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্ট এর মুখ্য ও অনান্য বিচারপতিদের নিয়োগ করেন|তিনি
সুপ্রিমকোর্টের থেকে আইন বিষয়ে পরামর্শ চাইতে পারেন| তিনি pardon (সম্পূর্ণরূপে
ক্ষমাকরা হয়, দোষ ও সাজা দুটোই মাফ করা হয়), commutation(এক্ষেত্রে সাজার ধরন
পরিবর্তন করা হয়, যেমন ফাঁসি বাতিলকরে যাবতজীবন সাজা|), remission (সাজার অবধি
কমিয়ে দেওয়া কিন্তু সাজার চরিত্র একই থাকে, যেমন 2 বছরের সশ্রম কারাদন্ডের থেকে 1
বছরের সশ্রম কারাদন্ডে পরিবর্তন করা), respite (বিশেষ কারণে সাজার চরিত্র বদলে দেওয়া,
যেমন শারীরিক অক্ষমতা বা গর্ভধারণ ইত্যাদি), reprieve (সাজার প্রয়োগে সাময়িক বিরতি,
যাতে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করতে পারেন)
5 কূটনীতিক ক্ষমতা:
সমস্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সন্ধি রাষ্ট্রপতির নাম স্বাক্ষর করা হয়|তিনি
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন|তিনি অন্যদেশে রাষ্ট্রদূত
পাঠান ও গ্রহণ করেন
6 সামরিক ক্ষমতা:
তিনি ভারতের জল স্থল ও বিমান বাহিনীর প্রধান সেনাপতি| তিনি প্রতিটি বাহিনীর প্রধানকে
নিয়োগ করেন| তিনি যুদ্ধঘোষণা ও শান্তি স্থাপন করতে পারেন, সংসদের অনুমোদন সাপেক্ষে|
৭ জরুরি অবস্থা
সংক্রান্ত ক্ষমতা: দেশে জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত কারণে রাষ্ট্রপতিকে এই ক্ষমতা
দেওয়া হয়েছে|ইমার্জেন্সি সংক্রান্ত ক্ষমতা অন্য মেটেরিয়াল এ আলোচিত হয়েছে|
রাষ্ট্রপতির
অধ্যাদেশ(অর্ডিন্যান্স) জারি করার ক্ষমতা: আর্টিকলে 123 এ বলা আছে, রাষ্ট্রপতি
অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন|সংসদে পাস হওয়া আইনের মতোই অর্ডিন্যান্স এর ক্ষমতা, কিন্তু
অর্ডিন্যান্স হলো সাময়িক (temporary law)আইন | রাষ্ট্রপতি অর্ডিন্যান্স জারি করতে
পারেন যখন সংসদের উভয় কক্ষতে বিরতি চলছে বা একটি কক্ষে বিরতি চলছে| যখন উভয় কক্ষে
অধিবেশন চলছে, তখন রাষ্ট্রপতি অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারেন না| তাই রাষ্ট্রপতির
অর্ডিন্যান্স ক্ষমতা, সংসদের আইনপ্রণয়নের ক্ষমতার
সমান্তরাল নয়| রাষ্ট্রপতি দ্বারা ঘোষিত প্রতিটি অর্ডিন্যান্স সংসদের অধিবেশন
শুরু হলে, সংসদে পাস করাতে হবে| অন্যথায় সংসদে অধিবেশন শুরু হবার 6 সপ্তাহের পরে অর্ডিন্যান্স
বাতিল বলে গন্য করা হবে| অনান্য আইনের মতোই অর্ডিন্যান্স পূর্বের কোনো তারিখ থেকে
জারি করা যেতে পারে| তবে সংবিধান সংশোধনের জন্য অর্ডিন্যান্স জারি করা যায় না| রাষ্ট্রপতি,
মন্ত্রিসভার পরামর্শেই অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারেন| এটা তাঁর স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা
নয়|
দ্বিতীয় তথা অন্তিম পার্ট| চ্যাপ্টার শেষ|
Darun sir ... Baki gulor opekkhay thaklam
ReplyDeleteঅসাধারণ কাজ করছেন আপনারা।
ReplyDeleteThank you sir
ReplyDeleteThank you sir.khub valo hlo
ReplyDeleteBook sathe mil nei onek kichu ami nije pore bolchi ....Karon laxmikant er book a president niye r o kichu bola ache r 17 ta page niye chapter ta ache.....tai sobai k bole dilam ata motei puropuri laxmikant er translate noi🙏🙏
ReplyDelete