1 গুজরাটের গর্ব ASIATIC LIONS:-
ভারতবর্ষে একমাত্র গির অরণ্যের ASIATIC LION পাওয়া যায়| একটি একটি Endemic Species অর্থাৎ এটি কেবল মাত্র এই স্থানে পাওয়া যায়| একদা বিলুপ্তির পথে চলা এই প্রজাতি বর্তমানে প্রায় 674 সংখ্যায় পৌছেছে| গির অরণ্যের সিংহদের বাসস্থান এবং সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে 36% এবং 29%| বর্তমানে সমগ্র বিশ্বব্যাপী বন্য প্রাণীদের বাসস্থান সংকোচন হচ্ছে সেই তুলনায় বর্তমান সিংহদের বাসস্থান বৃদ্ধি যথেষ্ট প্রসংসনীয়|বিগত কয়েক বছর ধরে জনগনের সক্রিয় অংশগ্রহন, প্রযুক্তির ব্যবহার, বন্য প্রাণীদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সিংহদের বাসস্থানের যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং মানুষ ও সিংহদের সংঘর্ষ কমিয়ে নিয়ে আসা বিভিন্ন কারণগুলির মধ্যে অন্যতম| সিংহগুলি একটি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল Canine Distemper Virus| যা বিদেশ থেকে ওষুধ আনিয়ে তাদের প্রয়োগ করে সুস্থ করে তোলা হয়েছে|
2. আদিত্য নাথের বক্তব্য যথার্থ নয় – নেপালের
প্রধানমন্ত্রী :-
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিতর্কিত কালাপানি অঞ্চলটিকে ভারতের বলে ঘোষনা করায় নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন “এই এলাকাটি তে 1962 ভারত-চীন যুদ্ধের পর থেকে ভারত নিজের সেনা সেখানে মোতায়েন রেখেছে এবং ঐ এলাকায় একটি কালি মন্দির নির্মান করেছে| যদিও এই এলাকাটি 1816 সালে সগৌলিক চুক্তি অনুসারে এটা নেপালের এলাকা”| এটি একটি বিতর্কিত এলাকা|
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিতর্কিত কালাপানি অঞ্চলটিকে ভারতের বলে ঘোষনা করায় নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন “এই এলাকাটি তে 1962 ভারত-চীন যুদ্ধের পর থেকে ভারত নিজের সেনা সেখানে মোতায়েন রেখেছে এবং ঐ এলাকায় একটি কালি মন্দির নির্মান করেছে| যদিও এই এলাকাটি 1816 সালে সগৌলিক চুক্তি অনুসারে এটা নেপালের এলাকা”| এটি একটি বিতর্কিত এলাকা|
3.
4. ধর্মীয় স্বাধীনতা ওপরে আমেরিকার রিপোর্ট :-
আমেরিকার গৃহ বিভাগ সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন যার নাম হল “International Religious Freedom” এই রিপোর্টে 2019 সালে ঘটে যাওয়া ভারতবর্ষে বিভিন্ন ঘটনাচক্র গুলিকে দেখানো হয়েছে| যেমন জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার বিলুপ্তি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(CAA) ভারতীয় জাতীয় নাগরিকপঞ্জি, এবং গণ হিংসার ঘটনা গুলিকেও দেখানো হয়েছে| এই রিপোর্টে ভারতবর্ষ কে ধর্মীয় স্বাধীনতার দিক থেকে একটি নিচু rank দেওয়া হয়েছে|
আমেরিকার গৃহ বিভাগ সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন যার নাম হল “International Religious Freedom” এই রিপোর্টে 2019 সালে ঘটে যাওয়া ভারতবর্ষে বিভিন্ন ঘটনাচক্র গুলিকে দেখানো হয়েছে| যেমন জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার বিলুপ্তি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(CAA) ভারতীয় জাতীয় নাগরিকপঞ্জি, এবং গণ হিংসার ঘটনা গুলিকেও দেখানো হয়েছে| এই রিপোর্টে ভারতবর্ষ কে ধর্মীয় স্বাধীনতার দিক থেকে একটি নিচু rank দেওয়া হয়েছে|
নেগেটিভ
রিপোর্ট- এই রিপোর্টে পজেটিভ এবং নেগেটিভ দুটি list আছে| ভারতবর্ষ কে কোনো list এ
রাখা হয়নি| তবে নাইজেরিয়া, চীন প্রভৃতি দেশ গুলোকে নেগেটিভ উদহারণ হিসাবে দেখানো
হয়েছে| বলা হয়েছে চীন সরকার সমস্ত ধর্মীয় সংখ্যা লঘুদের ওপরে দমন নীতি বজায়
রেখেছেন| এই প্রসঙ্গে চীনে উইগুর, তিব্বতী ও খ্রিষ্ঠানদের চীন সরকার দমন করছেন| আমেরিকার
বিদেশ মন্ত্রী মাইক পম্পেওকে, জজ ফ্লয়েড ব্যপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ধর্মীয়
স্বাধীনতা ও জাতিগত বৈরিতা দুটি আলাদা ব্যাপার বলে এড়িয়ে যান|
5. দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদের নতুন নির্দেশিকা :-
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদ ভারতীয় রেলওয়ে স্টেশন গুলিকে লাল, কমলা ও সবুজ এই তিন ভাগে ভাগ করেছে| তারা কতটা বর্জ্য/দূষিত জল বিনা পরিশ্রুত করে পরিত্যাগ তার ওপরে ভিত্তি করে| National Green Tribunal ভারতীয় রেলকে Air and water act অনুসারে জল ব্যবহারের ওপরে no objection certificate নিতে বলেছেন, দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদ থেকে| পর্ষদ জানিয়েছে যে স্টেশন গুলি দৈনিক 100 কিলোলিটার বা তার বেশি পরিমাণ বর্জ্য জল পরিত্যাগ করে তাদের লাল, যে স্টেশন গুলি দৈনিক 10-99 কিলোলিটার বর্জ্য জল পরিত্যাগ করে তাদের কমলা এবং যে স্টেশন গুলি দৈনিক 10 কিলোলিটার পর্যন্ত বর্জ্য জল ব্যবহার করে তাদের সবুজ আখ্যা দেওয়া হয়েছে|
Central Pollution control board: এটি একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা অর্থাৎ পার্লামেন্টে
আইন পাস করে গঠন করা হয়েছে| এই বোর্ডটি ministry of environment, Forest and
Climate change এর অধীনে আছে| স্থাপন হয়েছে 1974 সালে| এই বড়দের হাতে বায়ু জল স্থল
সমস্ত দূষণ নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে|কেন্দ্রীয় কেবিনেটের দ্বারা এই বোর্ডের
চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন| প্রত্যেকটি রাজ্যের নিজস্ব বোর্ড আছে|
6. বিদেশী পোষ্য বিষয়ে নতুন আইন:-
সম্পতি করোনা ভাইরাস যেটি কিনা প্রাণী থেকে মানব দেহে সংক্রমিত হয়েছে (Zoonotic Diseases), সেই বিষয়েই নতুন আইন আনা হয়েছে| ভারতের পরিবেশ মন্ত্রক জানিয়েছেন যে প্রজাতি বা প্রাণী গুলি 1972 সালে wildlife protection act অনুসারে তালিকা ভুক্ত হয়েছে তাদের ব্যবসা সম্পুর্ণ রূপে নিষিদ্ধ এবং একমাত্র সেই প্রাণী গুলিকে আনা যাবে যে গুলি CITES অনুসারে 1, 2 এবং 3 তালিকা ভুক্ত| যিনি একটি পোষ্য আনবেন তাকে নিজে থেকেই সরকারকে জানাতে হবে|
{জেনে
রাখা ভালো }
1972 সালের বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইন
1972
সালে ভারতীয় পার্লামেন্ট প্রাণী ও উদ্ভিদদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দেবার জন্য
বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইন পাস করে|এই আইন অনুসারে, মোট ছয়টি তফসিল(schedule) তৈরী করা
হয়েছে| প্রথম ও দ্বিতীয় তফসীলে প্রাণীদের হত্যা
করলে কঠিন শাস্তি তৃতীয় ও চতুর্থ তফসিলে প্রাণীদের হত্যা করলে লঘু শাস্তি এবং পঞ্চম
তফসিলে প্রানীদের শিকার করে যাবে| 6 তফসিলে উল্লেখিত উদ্ভিদদের চাষ করা নিষিদ্ধ|
CITES(Convention on International Trade in
Endangered Species of Wild fauna and Flora)- এটি
একটি সংস্থা যা ওয়াশিংটন কনভেনশন নামেও পরিচিত| এইটি একটি বহুমাত্রিক চুক্তি|
বিভিন্ন দেশ যোগদিয়েছে এবং নিজেদের পার্লামেন্টে এই আইন পাস করেছে| কার্যকরী হয়েছে
– 3/3/1975 স্থান – সুইজারল্যান্ড, সদস্যদেশ -183| এই সংস্থার লক্ষ্য হলো বিপন্ন (endangered)
প্রাণী বা উদ্ভিদের আন্তর্জাতিক ব্যবসা না করা হয়|
7. ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন twitter FACT Check কে সমর্থন করেছে :-
সম্প্রতি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রামপ দুটি twitter মেসেজ পোস্ট করেছিলেন, যা পরে twitter-এর পক্ষ থেকে ভ্রান্ত বলে আক্ষা দেওয়া হয়|
জেনে
রাখা ভালো-
European
Union- ইউরোপের 27টি দেশমিলে একটি অর্থনৈতিক জোট গড়ে তুলেছে| প্রায়সব দেশগুলিই ইউরোপে
অবস্থিত| মোট আয়তন ৪২৩৩২৫৫.৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা এবং প্রায় 45 কোটি জনগণ| সবকটি
দেশমিলে একটি বাজার গড়ে তোলা হয়েছে| একই মুদ্রা চলে- ইউরো| যদিও সদস্য দেশগুলি
নিজের মুদ্রা রাখতে পারে| একটি পার্লামেন্ট আছে, সব দেশের প্রতিনিধি থাকেন এবং
সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারে- ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট| এই ইউনিয়নের লক্ষ্য হলো
বিনাবাধায় দ্রব্য পরিসেবা ও মানব চলাচল| পাসপোর্টের প্রয়োজন নেই|2 বছর আগেই
ব্রিটেন European Union ত্যাগ করেছে|
8. ইসরায়েল এর জমি বাজেয়াপ্ত আইন বাতিল :-
ইসরায়েল সুপ্রিম কোর্ট ইসরায়েল সরকারের জমি বাজেয়াপ্ত আইনটিকে বাতিল আইন বলে ঘোষণা করেছেন| এই আইনের মাধ্যমে সরকার বিতর্কিত west bank এলাকায় শতাধিক একর অধিকৃত জমি গুলিকে বাজেয়াপ্ত করতে চেয়েছিল| যেটা আর এখন সম্ভব নয়|9. সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু রহস্য মামলা 34 বছর পর শেষ হলো :-
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী Olaf Palme যাকে 1986 সালে পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়| এবং সেই মামলার তদন্ত সুইডেন কর্তৃপক্ষ শেষ বলে ঘোষণা করেছেন| কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন এই মামলার মূখ্য অভিযুক্ত Stig Engstrom 2000 সালে মারা যান| যদিও এই ঘটনার কোনো যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যায়নি|10. S&P ভারতের রেটিং এবং আউট লুক ঘোষণা করেছে :-
ঋণ এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতকে S&P রেটিং এজেন্সি ‘BBB-’ যেটি কিনা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন শ্রেণী সেটি প্রধান করেছে| সংস্থাটি আরো জানিয়েছে বর্তমানে দেশে যে সমস্ত অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের কাজ চলছে সেই অনুযায়ী চললে দেশ অনেকটাই এগিয়ে যাবে|
{ জেনে
রাখা ভালো }
Rating Agency
– আমরা ফ্লিপকার্ট বা আমাজনে কোনো জিনিস কিনলে যেমন সেই জিনিসের রেটিং দেখি, ঠিক
তেমনি ভাবেই দেশের সরকার, বড় বড় কোম্পানীর রেটিং হয়| প্রত্যেকটা কোম্পানি বা দেশ
অন্য় সংস্থা থেকে টাকা ধার নেয়, কিন্তু কেউ কাউকে টাকা ধার দেবার আগে এটা দেখেন
যে, ঋণগ্রহীতা টাকা ফেরৎ দিতে আদৌ পারবেন কিনা| তাই কিছু সংস্থা বা কোম্পানি আছে
যারা বিভিন্ন দেশের বা কোম্পানীর টাকা ফেরৎ দেবার যোগ্যতা হিসাব করেন, অর্থাৎ সেই
দেশে টাকা বিনিয়োগ নিরাপদ হবে কিনা সেটা রেটিং এর মাধ্যমে বুঝিয়ে দেন| তাদেরকেই ক্রেডিট
রেটিং এজেন্সী বলে| যেমন – S&P (standard and poor), Moody’s প্রভৃতি| সবচেয়ে
ভালো রেটিং হলো AAA+, তারপর AAA, AAA-,AAB+...ভারতের হলো BBB-|অর্থাৎ ভারত
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন স্থানে আছে| প্রসঙ্গতঃ উল্লেখযোগ্য LIC, SBI, RBI,
RELIANCE সব কোম্পানীর রেটিং হয়|
11. ইনফোসিস কোম্পানী কার্বন নিরপেক্ষতা লক্ষমাত্রা (Carbon Neutral Target) অর্জন করতে পারেনি:-
2011 সালে কোম্পানী ঘোষণা করে যে, একটা দায়িত্বশীল কোম্পানী হিসাবে কার্বনের নিঃসরণকে সম্পুর্ণরূপে নিরপেক্ষ করে তুলবে 2020 সালের মধ্যে| কিন্তু বর্তমান আবহাওয়া সেটি সম্ভব হয়নি তাই তারা 2021 সালকে লক্ষ্য মাত্রা রেখেছে| তারা ঘোষণা করেছেন GHG গুলির নিঃসরন কমানো হবে| প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণ ও কোম্পানীর ক্লায়েন্টদের জন্য নুন্যতম কার্বন নিঃসরণ ব্যবস্থা আনা হয়েছে|ইনফোসিস কোম্পানী 2019 সালে UN GLOBAL CLIMATE ACTION AWARDS পেয়েছে| এটি ভারতের একমাত্র কোম্পানী যা এই Award পেয়েছে|
জেনে রাখা ভালো
UN GLOBAL CLIMATE ACTION AWARDS-
সারা বিশ্বে আবহাওয়া পরিবর্তন খুবই চিন্তার বিষয়| ইউনাইটেড নেশন এই নেগেটিভ আবহাওয়া পরিবর্তনকে থামিয়ে বা সেই দিকে কোনো কাজ করা যায় এমনসব উদ্ভাবনশীল মাপযোগ্য় এবং কপি করা যায় এমন সব কাজ/ প্রযুক্তি/ আবিস্কারকদের পুরস্কার দিয়ে থাকে| কারা আবেদন করতে পারে?- যেকোনো সংস্থা, কমিউনিটি, শহর, বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের সরকার, এবং অন্যরা যারা এই ধরণের কাজ করছে|
যারা পুরস্কার পাবেন – তারা UN Climate Change Conference এ অংশ নিতে পারেন|UN এর ওয়েবসাইটে তাদের
প্রজেক্টের স্থান পাবে|