14 June The Hindu News forst fire jal shakti mission national international economic political upsc wbcs current affairs



 

Forest Fire

ভারতে বিভিন্ন জঙ্গলে মাঝে মাঝে আগুন লেগে যায়| এতে নিরীহপ্রাণী ও গাছপালার বিশেষ ক্ষতি হয়| এছাড়া জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতেও প্রাণহানি ও সম্পদের নষ্ঠ হয়ে যায়| তাই এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকার “National Action Plan on forest fire” পরিকল্পনা এনেছেন|

National Action Plan on forest fire:

ভারতে 2019 সালে প্রায় 93 হাজার একর বনভূমি দাবানলে ভস্মিভূত হয়েছে| বনভূমি সপ্তম তফসিলে যুগ্মতালিকায় (concurrent) আছে| যুগ্মতালিকাভুক্ত বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়েই আইন তৈরী করতে পারে| সমগ্র দেশে যেন একই ধরনের আইন চলে এবং কাজ হয় তাই এক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার আইন তৈরী করেছেন| এই অ্যাকশন plan তৈরির আগেই, কেন্দ্রসরকার, রাজ্যসরকার ও ইউনিয়ন টেরিটোরি দের সাথে আলোচনা করে এই আইন তৈরী করেছেন|
MoEF&CC (Ministry of Environment Forest and Climate Change) যে নীতিগুলি তৈরী করেছেন তা হলো
1 জঙ্গল / বনের সংলগ্ন গ্রামগুলিকে বনদপ্তরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার জন্য তাদের উতসাহিত (incentivised), সক্ষম (enabled) ও ক্ষমতায়ন(empower) করতে হবে|
2 বনভূমিতে বিভিন্ন ধরণের বাস্তুতন্ত্র (ecosystem) থাকে এবং সেগুলির আগুনসংক্রান্ত ও অনান্য দুর্বলতা (vulnerabilities)ও ঝুঁকি দূর করতে হবে|
3 বনকর্মী ও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলির (institutions) দাবানল সংক্রান্ত দক্ষতা (capacity enhancement) বৃদ্ধি করতে হবে| 


Forest Fire Prevention and Management (দাবানল প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা)

এই পরিকল্পনাটি কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার দ্বারা যৌথ ভাবে চালনা করা হয়| যদিও বেশিটা কেন্দ্র সরকার প্রদান করেন| রাজ্যগুলিকে দাবানল নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে সাহায্য ও পথনির্দেশ দেবার কাজটি কেন্দ্র সরকার করে থাকেন| এই আইনটি আগের intensification of forest management system (2017) আইনটিকে বদলে দিয়েছে| নতুন আইনে অর্থবরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে|উত্তরপূর্ব ও পশ্চিমহিমালয়ের রাজ্য গুলির ক্ষেত্রে কেন্দ্র রাজ্য টাকার অনুপার 90:10, এবং বাকি রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে এই অনুপাত 60:40|
এই খাতের টাকা রাজ্য সরকার 1 national afforestation program এবং mission for green India এর কাজে খরচা করতে পারে|


JAL JIBAN MISSION

লক্ষ্য : 2024 সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি পরিবারকে পাইপের মাধ্যমে শুদ্ধ ও সুরক্ষিত পানীয় জল পৌছে দেওয়া হবে| ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য জল বাঁচিয়ে রাখা (SUSTAINABLE use of WATER), দুষিত জলের পুনর্ব্যবহার (REUSE of GREY WATER), ভৌমজলের পুনরুজ্জীবন (GROUND water RECHARGE), জলসংরক্ষণ, বৃষ্টির জল জমিয়ে রাখা (RAIN WATER HARVESTING) প্রভৃতিও এই মিশনের অন্তর্ভুক্ত|
এই মিশনের লক্ষ্য পূরণের জন্য, জনগনের (community participation) অংশগ্রহণ একান্ত জরুরি| তাদের যথাযথ ভাবে তথ্য়দেয়া জল বিষয়ে শিক্ষিত করা প্রভৃতি এই জল কর্মকান্ডের অন্তর্গত| জলকে একটি জন আন্দোলন হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা যাতে সবাই এটাকে অগ্রধিকার দেয়| (water PRIORITY)| কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাজেট ভাষণের বলেন “Har Ghar Nal Se Jol|”

নীতি আয়োগের “ COMPOSITE WATER MANAGEMENT INDEX 2018 ” অনুসারে ভারতের 21 শহরে আগামী কয়েকবছরের মধ্যে Day Zero আসতে চলেছে| Day Zero মানে হলো ঐ শহরে তার প্রয়োজনীয় জল পাওয়া যাবে না| Bengaluru Chennai Delhi Hyderabad প্রভৃতি শহর এই তালিকায় আছে| রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে 75% পরিবারের পানীয় জলের বন্দোবস্ত তাদের বাড়িতে নেই| ভারতে 84% বাড়িতে পাইপ জলের সুবিধা নেই| যেখানে পাইপ জলের সুবিধা আছে, সেখানেও আবর সবার ভাবে বন্টন হয় না জল| Delhi Mumbai প্রভৃতি শহরে 150 litre per capita per day (LPCD) দেয়া হয় কিন্তু অনেক স্থানে আবার 40-50 LPCD দেওয়া হয়|

WHO (WORLD HEALTH ORGANISATION) 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের দৈনিক 25 লিটার জল লাগে সব মিলিয়ে|
nandosir

I am a civil services teacher. I teach online / offline for UPSC CSE / WBCS

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post