Historical Background
Download link শেষে দেওয়া আছেইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী (EIC) ভারতে এসেছিল 1600 সালে ব্যবসায়ী রূপে| ইংল্যান্ডের রাণী প্রথম এলিজাবেথ ভারতের ব্যবসা করার জন্য তাদের একচেটিয়া সনদ প্রদান করেন| 1765 সালে EIC যেটি তখনও পযর্ন্ত একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ছিল, দেওয়ানি লাভ করে- বাংলা, বিহার ও ওড়িশা| দেওয়ানি বলতে রাজস্ব আদায়ের অধিকার আর বিচার
ব্যবস্থার অধিকার| এই ভাবে কোম্পানী রাজনৈতিক শক্তি রূপে আত্ম প্রকাশ করে| 1858 সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর ভারতবর্ষের শাসন ব্যবস্থা রাণী নিজের হাতে নিয়ে নেন| এই ব্যবস্থা চলে 15 আগস্ট 1947 পর্যন্ত অর্থাৎ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত| ভারত স্বাধীন হবার সাথে সাথে একটি সংবিধানের প্রয়োজন সকলেই অনুভব করেন| ভারতে সাম্যবাদী আন্দোলনের পথিকৃত মানবেন্দ্রনাথ রায় এই বিষয়ে আলোকপাত করেন| 1946 সালে সংবিধান রচনার জন্য একটি সভা গঠিত হয়(constituent assembly) এবং 26 জানুয়ারী 1950 সালে ভারতের সংবিধান কার্যকারী হয়| ভারতের সংবিধানে যে সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলি আছে তার অনেকটাই ব্রিটিশ সংবিধান থেকে নেওয়া হয়েছে|ব্রিটিশ শাসন অধীনে ভারতবর্ষে ব্রিটিশরা অনেক নিয়ম এবং নীতি প্রবর্তন করেন| যাতে বিট্রিশ শাসন সুষ্ঠ ভাবে ভারতে চলতে পারে এবং নিয়মনীতি গুলি কালক্রমে ভারতীয় সংবিধানের পূর্বসূরী হয়ে দাড়ায়|
The Company Rule (1773-1858)
Regulating act. 1773
এই আইনটির সাংবিধানিক গুরুত্ব খুব বেশি| এবং এই আইনের দ্বারা বিট্রিশ সরকার প্রথমবার EIC কে কার্যত নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করেন| এই আইনটি কোম্পানীর রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব এবং কার্যকলাপকে স্বীকার করে নেয় এবং এই আইনের মাধ্যমে ভারতের কেন্দ্রীয় শাসনের সূচনা হয়|এই আইনের বৈশিষ্ট্য :- (i)এই আইনের দ্বারা বাংলার গভর্ণরকে বাংলার গভর্ণর জেনারেল নামে ভুষিত করা হল, একটি কার্য নির্বাহক পরিষদ চার সদস্য বিশিষ্ট তৈরী করা হল| প্রথম গভর্ণর জেনারেল ছিলেন লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস|
(ii)এই আইনের দ্বারা বম্বে ও মাদ্রাজের গভর্ণর দের বাংলার গভর্নর জেনারেলের অধস্তনে পরিণত করা হল| অর্থাৎ আগের মত তারা স্বাধীন থাকল না|
(iii)এই আইনের দ্বারা কলকাতায় একটা সুপ্রিম কোর্ট স্থাপন করা হল 1774 সালে|
(iv)কোম্পানীর কর্মচারীদের ব্যক্তিগত বাণিজ্য নিষিদ্ধ করা হল| তার দেশীয় ব্যক্তিদের থেকে কোনো রকম ঘুষ/ উপহার নিতে পারবে না|
(v)কোম্পানির পরিচালনাসভার কাজকর্ম সংকান্ত সমস্ত বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারকে জানানোর আদেশ দেওয়া হল|
পিট –এর ভারত শাসন আইন 1784
এই আইনের বৈশিষ্ট্য :- (i)কোম্পানীর বাণিজ্যিক এবং রাজনৈতিক কাজকর্ম গুলিকে পৃথক করা হল|(ii)কোম্পানীর পরিচালক সভা(court of directors) কেবল মাত্র বাণিজ্যিক ব্যাপার গুলিকে দেখাবে এবং কোম্পানির রাজনৈতিক ব্যাপার গুলি দেখার জন্য Board of Control গঠন করা হল| এই রূপে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত হল|
(iii)ভারতের ব্রিটিশ অধিকৃত এলাকার রাজস্ব, সামরিক প্রভৃতি কাজ গুলিকে তত্ত্বাবধান এবং পরিচালনা করার অধিকার এই আইনের মাধ্যমে Board of Control-কে দেওয়া হয়|
এই ভাবে আইনটার মাধ্যমে কোম্পানীর অধিকৃত অঞ্চল গুলিকে ব্রিটিশ অধিকৃত অঞ্চল বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়| কোম্পানীর কাজকর্ম এবং প্রসাশনিক বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার সরকারকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়|
1833 –এর সনদ আইন
ভারতে কেন্দ্রীকরণ করণ প্রবণতার ক্ষেত্রে এই আইনটি অন্তিম পদক্ষেপ|এই আইনের বৈশিষ্ট্য :- 1. বাংলার গভর্নর জেনারেলকে ভারতের গভর্নর জেনারেল পদে ভূষিত করা হয়| তার হাতে সামরিক ও civil ক্ষমতা অর্পন করা হয়| এই আইনের দ্বারা প্রথমবার, ব্রিটিশ ভারত সরকার সমগ্র ব্রিটিশ ভারতের উপর কতৃত্ব লাভ করেন| প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড উলিয়াম বেন্টিক |
2. বম্বে ও মাদ্রাজের গভর্ণরদের আইন প্রনয়ন সংক্রান্ত ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং সমগ্র ভারতের উপর আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত ক্ষমতা দেওয়া হয় ভারতের গভর্ণর জেনারেলকে| আগেকার আইন অনুসারে ঘোষিত নিয়মগুলিকে Regulation বলা হতো| কিন্তু এই আইন অনুসারে ঘোষিত নিয়মগুলিকে Act বলা হয়|
3. EIC –এর ব্যবসায়িক চরিত্রটিকে সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে সেটা প্রশাসনিক ক্ষমতায় পরিণত করা হয় এই আইনের দ্বারা কোম্পানীর অধিকৃত অঞ্চল গুলিকে রানীর নামে কোম্পানিকে পরিচালনার অধিকার দেওয়া হয়|
4. এই আইনের দ্বারা ভারতীয়দের ব্রিটিশ প্রসাশনের পদে নিয়োগের জন্য উন্মুক্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার (open competitive exam) আয়োজনের কথা বলা হয়| যাতে ভারতীয়রাও কোম্পানীর অধীনে চাকরি পেতে পারে| কিন্তু কোম্পানীর পরিচালক সভা(court of directors)এর বিরোধিতার সেটা আর কার্যকর করা সম্ভব হয়নি|
1853 –এর সনদ আইন
এটি সনদ আইনগুলির শেষ আইন| এটি খুবই গুরুত্বপূর্ন সাংবিধানিক মাইলফলক|বৈশিষ্ট্য :- 1. গভর্নর জেনারেলের আইন প্রণয়ন ও কার্য নির্বাহী ক্ষমতার পৃথকীকরণ করা হয়| 6 জন নতুন সদস্যকে নেওয়া হয় council –এ| যারা আইন প্রণয়ক (legislators)হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে| অর্থাৎ আইন পরিষদ হিসাবে কাজ করবে| এটাই আইন পরিষদ হিসাবে ভারত কাজ শুরু এবং ভারতের ক্ষুদ্র সংসদ হিসাবে (mini parliament)পরিচিতি পায়| ব্রিটিশ সংসদের অনুকরণে একই ধরনের প্রথা, পদ্ধতি গ্রহন করা হয়| আইন প্রণয়নকে ভারতবর্ষে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং তার জন্য বিশেষ পরিষদ ও সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়|
2. এই আইনের দ্বারা সর্ব সাধারনের জন্য উম্নুক্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার আয়োজন করা হয় যাতে উচ্চপদস্থ সরকারী চাকরিতে ভারতীয়রা নিযুক্ত হতে পারেন| এই প্রসঙ্গে Macaulay কমিটি গঠন করা হয় 1854 সালে|
3. কোম্পানীর সনদ, এই আইন অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাড়িয়ে দেয়| অর্থাৎ ব্রিটিশ সংসদ যখন চাইবে কোম্পানীর শাসন শেষ করে দিতে পারে|
4. এই আইনের দ্বারা কেন্দ্রীয় আইন পরিষদ স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব গ্রহণ করা হয়| নতুন 6 জন সদস্যের মধ্যে 4 জনকে মনোনীত/সুপরিস করবে মাদ্রাজ, বম্বে, বাংলা ও আগ্রার সরকার গুলি|
রাণীর শাসন (1858-1947)
Government of India Act 1858.
সিপাহী বিদ্রেহের ঠিক পরে পরেই এই 1858 সালের আইন পাশ করা হয়| এই আইনটিকে বলা হয় “ Act for the Good Government of India” এই আইনের দ্বারা ভারতে কোম্পানীর শাসন বর্জিত হয় এবং কোম্পানীর সমস্ত ক্ষমতা, অধিকৃত অঞ্চল, রাজস্ব সংগ্রহ প্রভৃতি ব্যবস্থা সরাসরি ব্রিটিশ নিজের হাতে নিয়ে নেন|আইনের বৈশিষ্ট্য:- 1. এবার থেকে ভারত শাসিত হবে রাণীর নামে, তার প্রতিনিধি দ্বারা| ভারতের গভর্ণর জেনারেলের পদের নাম পরিবর্তিত হয়ে সেটা রাজ প্রতিনিধি(viceroy) হিসাবে পরিচিত হয়| ভারতের প্রথম viceroy ছিলেন –লর্ড ক্যানিং
2. দ্বৈত শাসন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ বর্জন করা হয়| count of directors (কোম্পানীর পরিচালক সভা)ও board of control (কোম্পানীর নিয়ন্ত্রক সভা)ভেঙ্গে দেওয়া হয়|
3. নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়| ভারত বিষয়ক মন্ত্রী|(Secretary of State for India) | যার হাতে ভারতের শাসন আইন ও সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব তুলে দেওয়া হয়| ইনি অবশ্যই ব্রিটিশ ক্যাবিনেটের সদস্য হবেন| ইনি কেবলমাত্র ব্রিটিশ সংসদের কাছেই নিজ কাজ কর্মের জন্য দায়ী|
4. 15 সদস্যের পরিষদ গঠন করা হয়| এই পরিষদ ভারত বিষয়ক মন্ত্রীকে, ভারত শাসন বিষয় সাহায্য করবেন| চেয়ারম্যান হলেন মন্ত্রী স্বয়ং|
5. এই মন্ত্রী ও তার পরিষদের বিরুদ্ধে করতে মামলা করা যাবে, এবং পরিষদ চাইলেও কারও বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে| (can sue and can be sued)
এই আইনটি ভারত শাসনের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠানিক পরিবর্তন নিয়ে আসে| কোনো রকম শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তন নিয়ে আসেনি| কোম্পানীর শাসন থেকে নতুন শাসন ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি|
Indian Council Act 1861, 1892 and 1909.
পরিষদীয় আইন 1861, 1892, 1909.
ভারত শাসন করার জন্য ভারতীয়দের সহযোগিতা খুবই দরকার একথা ব্রিটিশ সরকার হাড়ে হাড়ে টের পান সিপাহী বিদ্রেহের পর এবং সেটা সুনিশ্চিত করতে ব্রিটিশ সরকার 1861, 1892 ও 1909 সালে তিনটি আইন পাশ করেন|1861 সালের আইনের বৈশিষ্ট্য :-
ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থাকে প্রতিনিধিত্বমূলক গড়ে তোলার জন্য আইন পরিষদে non official সদস্য হিসাবে viceroy কে ভারতীয়দের মনোনীত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়| 1862 সালে লর্ড ক্যানিং তিনজন ভারতীয়কে নিজের কেন্দ্রীয় আইন পরিষদে মনোনীত করেন|(1)বেনারসের রাজা, (2)পাটিয়ালার মহারাজ, (3)স্যার দিনকর রাও|
2. এই আইনের দ্বারা বিকেন্দ্রীকরণের উপর জোর দেওয়া হয়| বম্বে ও মাদ্রাজ কে আইন প্রনয়ণ সংক্রান্ত ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়| 1773 থেকে শুরু হওয়া কেন্দ্রীকরণ প্রবণতাকে সম্পূর্ণ বদলে দেওয়া হয়| বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থাটি পূর্ণতা পায় 1937 সালে যখন প্রাদেশিক সরকার গুলিকে সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীন স্বশাসনের সুযোগ দেওয়া হয়|
3. তিনটি আইন পরিষদ গঠন করা হয়| (i)বাংলা (ii)উত্তর পশ্চিম প্রদেশ ও (iii)পাঞ্জাবে যথাক্রমে 1862, 1886 ও 1897.
4. আইন পরিষদে যথাযথ কাজ কর্ম চালানোর জন্য নিয়ম, নীতি প্রভৃতি প্রবর্তনের সম্পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয় বড়লাটকে|
Pootfolio (দফতর)বিভাগ/ বণ্টন করে কাজ করার পদ্ধতি স্বীকৃতি পায়| লর্ড ক্যানিং এই ব্যবস্থা প্রচলন করেন|
আইন পরিষদের সদস্যদের কোন একটি বা একাধিক বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়| বর্তমানে ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের মতো ব্যাপার অনেকটা| এবং সেই সদস্যকেই ঐ সংশ্লিস্ট বিভাগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়|
5. জরুরী অবস্থায় বড়লাট(viceroy)আইন পরিষদের অমতেও ordinace(অধ্যাদেশ)জারী করতে পারেন| তবে ordinace কেবলমাত্র 6 মাস পর্যন্ত জারী থাকতে পারে|
1892 –এর আইনের বৈশিষ্ট্য:-
1. অতিরিক্ত (non official) সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইন পরিষদে যদিও তাতে official সদস্যদের সংখ্যাধিক্য বজায় রাখা হয়|2. বাজেট আলোচনার অধিকার/ ক্ষমতা প্রদান করা হয়| পরিষদ বাজেট বিষয়ে কার্য নির্বাহীরা প্রশ্ন করার অধিকার পায়|
3. বড়লাট (viceroy), প্রাদেশিক সরকার ও Bengal Chamber of Commerce এর সুপরিস ক্রমে কেন্দ্রীয় আইন পরিষদে কিছু non official সদস্যদের ,মনোনীত করার অধিকার পান| ঠিক তেমন ভাবেই প্রাদেশিক আইন পরিষদেও কিছু non official সদস্য মনোনয়নের জন্য ছোটলাট (governor) স্থানীয় জেলা বোর্ড, পৌরসভা, বিশ্ববিদ্যালয়, জমিদার প্রভৃতিদের সুপরিস ক্রমে মনোনয়ন করবেন|
এই আইন সীমিতও অপ্রত্যক্ষ ভাবে (limited and indirect)কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইন সভায় কিছু পদ পূরণের ভোট শব্দটির ব্যবহার যদিও হয়নি|
1909 আইনের বৈশিষ্ট্য:-
এই আইনটি মলে মিন্টো সংস্কার আইন নামেও পরিচিত| লর্ড মর্লে ছিলেন তখনকার ভারত বিষয়ক মন্ত্রী এবং লর্ড মিন্টো ছিলেন তৎকালীন ভারতের viceroy.1আইন পরিষদে সদস্য সংখ্যা একবারে অনেকটাই বাড়ানো হয়| কেন্দ্রীয় আইন সভায় 16 জন থেকে 60 করা হয়| এবং প্রদেশে এই সংখ্যাটি অনিয়মিত (সব ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ছিল না) ছিল|
2কেন্দ্রীয় আইন সভায় official সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখা হয় এবং প্রাদেশিক আইন সভায় non official সংখ্যাগরিষ্ঠতা রাখা হয়|
3কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইন সভার কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়| প্রশ্নকরা, প্রস্তাব পাশ করা প্রভৃতি করতে দেওয়া হয়|
4বড়লাট(viceroy) ও প্রাদেশিক governer এর কার্যনিবাহী পরিষদ সর্ব প্রথম ভারতীয় সদস্য গ্রহণ করা হয়| সত্যেন্দ্র প্রসাদ সিংহ হলেন প্রথম ভারতীয় যিনি বড়লাটের কার্যনিবাহী পরিষদে যোগদান করার সুযোগ পান|
5মুসলিমদের জন্য সম্প্রদায়িক প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা হয়| অর্থাৎ আইন পরিষদের মুসলিম সদস্যরা কেবলমাত্র মুসলিম ভোটারদের দ্বারাই নির্বাচিত হবেন| সাম্প্রদায়িক নির্বাচন ব্যবস্থাকে আইন সিদ্ধ করা হয়| তাই লর্ড মিন্টোকে সাম্প্রদায়িক নির্বাচন ব্যবস্থার জনক (father of communal electorate) বলা হয়|
6কর্পোরেশন, Chamber of Commerce, বিশ্ববিদ্যালয় ও জমিদারদের পৃথক পৃথক প্রতিনিধিত্বের সুযোগ দেওয়া হয়|
ভারত শাসন আইন 1919
20 আগস্ট 1917 সালে ব্রিটিশ সরকার ঘোষনা করেন, ব্রিটিশ সরকারের লক্ষ্য হলো ভারতে একটি দায়িত্বশীল সরকারের প্রবর্ত্তন করা ক্রমে ক্রমে| তাই 1919 সালের ভারত শাসন আইন আনা হয় এবং তা বলবৎ হয় 1921 সালে| এই আইনটি মন্টেগু চেমস ফোর্ড আইন নামেও পরিচিত| মন্টেগু ছিলেন তৎকালীন ভারত বিষয়ক মন্ত্রী ও লর্ড চেমস ফোর্ড ছিলেন তৎকালীন বড়লাট|1এই আইনে প্রদেশগুলির উপর কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রন একেটাই শিথিল করা হয়| কেন্দ্র ও প্রাদেশিক সরকারের কার্যক্ষেত্র সুনিদির্ষ্ট ভাবে সীমানা নির্ধারণ করা হয়| আইন প্রণয়ন ও অন্যান্য ক্ষমতার সুনির্দিষ্ট ভাবে তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে উভয় সরকারের মধ্যে বন্টন করা হয়| যদিও সরকারের গঠন মূলত ছিল ঐকিক(unitary)এবং কেন্দ্রীয় প্রবণতা বিদ্যমান ছিল|
2প্রাদেশিক সরকারকে দেওয়া ক্ষমতা/বিষয় গুলিকেও আরও দুভাগে ভাগ করা হয়| হস্তান্তরিত(transfared)ও সংরক্ষিত(reserved)| হস্তান্তরিত বিষয় গুলিকে গভর্ণর তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরামর্শে কাজ করবেন| মন্ত্রিসভা কেবলমাত্র আইন পরিষদের কাছে দায়ী থাকবেন| সংরক্ষিত বিষয় গুলিকে গভর্ণর ও তাঁর কার্যনিবাহী পরিষদ পরিচালনা করবেন| এজন্য তাঁরা আইন পরিষদের কাছে দায়ী থাকবেন না| এই ব্যবস্থাটি দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা নামে পরিচিত|dyarcny - এই শব্দটি গ্রীক শব্দ “di-arche” থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ দুটি শাসন|
এই পরীক্ষাটি অনেকটাই অসফল হয়েছিল|
3ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা ও প্রত্যক্ষ নির্বাচিত ব্যবস্থার প্রবর্ত্তন করা হয়| ভারতের আইন পরিষদের স্থান দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট, আইন সভা স্থাপিত হয়| একটি উচ্চকক্ষ(upper house)অর্থাৎ council of state (রাজ্যসভা)এবং নিম্নকক্ষ(lower house) legislative assembly অর্থাৎ লোক সভা| উভয় কক্ষের উভয় সদস্যরাই প্রত্যক্ষ নির্বাচনের দ্বারা নির্ধারিত হয়েছিলেন|
4বড়লাটের কার্যনিবাহী পরিষদের (executive council)6 জন সদস্যের মধ্যে 3 জন সদস্য অবশ্যই ভারতীয় হবেন|মূখ্য সেনাপতি ব্যতিরেকে|
5শিখ, খ্রীষ্টান, Anglo Indian ও ইউরোপিয়ানদের জন্য সাম্প্রদায়িক নির্বাচন ব্যবস্থা সম্প্রসারিত/ বৃদ্ধি করা হয়|
6সম্পদ, শিক্ষা ও কর প্রদানের উপর ভিত্তি করে ভোট ভোটাধিকার দেওয়া হয়|
7লন্ডনে ভারতের হাইকমিশনারেরঅফিস স্থাপন করা হয় এবং ভারত বিষয়ক মন্ত্রীর কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য এই অফিসে প্রদান করা হয়|
8জনসেবা কৃত্যক গঠন করা হয়| (public service commission)1926 সালে কেন্দ্রীয় জনসেবা কৃত্যক গঠন করা হয়|
9কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক বাজেট পৃথক করা হ্য়| প্রাদেশিক সরকার গুলি নিজেদের বাজেট পেশ করার অধিকার পায়|
10এই আইনটি কী রকম কাজ করছে বা কতোটা সফল সেটা দেখার জন্য একটি কমিশন দশবছর পরে গঠনের কথা বলা হয়|
সাইমন কমিশন
1927 সালের নভেম্বরে (অর্থাৎ দশ বছর হবার দু বছর আগেই)ব্রিটিশ সরকার 7 সদস্যের বিধিবদ্ধ একটি কমিটি (statutory committee), স্যার জন সাইমনের সভাপতিত্বে প্রশাসনিক, রাজনৈতিক সামাজিক প্রভৃতি বিষয়ে রিপোর্টদের নতুন সংবিধানের তত্ত্বাবধানে| সমস্ত সদস্য ব্রিটিশ হওয়ার কারণে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলি এই কমিটিকে বয়কট করে| কমিশন 1930 সালে নিজ রিপোর্ট ব্রিটিশ সরকারকে জমা দেয়| সুপরিস করে-(a)দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার বর্জন|
(b)দায়িত্বশীল সরকারের ক্ষমতা ও কাজের আয়ত্ব প্রসারণ|
(c)ব্রিটিশ ভারত ও রাজা শাসিত রাজ্য গুলিকে নিয়ে একটি যুক্তরাষ্ট্র(federation)গঠন|
(d)সাম্প্রদায়িক নির্বাচন ব্যবস্থার বজায় রাখা প্রভৃতি|
এই কমিশনের প্রস্তাবগুলিকে আলোচনার জন্য ব্রিটিশ সরকার তিনটি গোলটেবিল বৈঠক আহ্বান করেন| এতে ছিল ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধি, ব্রিটিশ ভারত ও রাজা শাসিত রাজ্য গুলির প্রতিনিধি| আলোচনার ভিত্তিতে ব্রিটিশ সরকার “সাংবিধানিক পুর্নগঠনের উপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন| A white paper on constitutional reforms” এবং এটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের যৌথ(যুগ্ম) select কমিটিতে জমা করা হয়|
এই যৌথ select কমিটির সুপারিশ ক্রমেই পরবর্তী ভারত শাসন আইন 1935 ঘোষিত হয়|
সাম্প্রদায়িক রায়/নীতি (communal award)
ম্যকডোনান্ড সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ঘোষনা করেন| এই নীতি অনুসারে সংখ্যা লঘুদের প্রতিনিধিত্ব করার কথা বলা হয়| পূর্বঘোষিত সাম্প্রদায়িক নির্বাচন ব্যবস্থার সাথে, হিন্দু সম্প্রদায়ের যে চারটি বর্ণ রয়েছে, তার পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার কথা বলা হয়| গান্ধিজি এর প্রতিবাদে অনশন শুরু করেন| শেষ পর্যন্ত গান্ধিজি ও depressed class এর নেতাদের মধ্যে চুক্তি সম্প্রাদিত হয় Yeravada Jail –এ| এটা পুনাচুক্তি 1932 নামে পরিচিত| এরফলে হিন্দু যৌথ ভোটাধিকার ব্যবস্থা চালু থাকে এবং depressed class-এর জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়|
ভারত শাসন আইন -1935
ভারতে দায়িত্বশীল সরকার গঠনের ক্ষেত্রে এই আইনটি দ্বিতীয় মাইলফলক| এতে 321টি section এবং 10টি schedule/তপসিল আছে|বৈশিষ্ট্য:- 1. সর্বভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়| ব্রিটিশ শাসিত ভারত ও রাজা শাসিত রাজ্যগুলি নিয়ে এই যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হবে| কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতা সুনির্দিষ্ট ভাবে তিনটি তালিকার মাধ্যমে বন্টিত হয়েছে| Federal list-59 (কেন্দ্র সরকারে জন্য) Provincial list(প্রাদেশিক সরকারের জন্য)-54 এবং Concurrent list-36. Residuary (অবশিষ্টাংশ) ক্ষমতা viceroy-কে দেওয়া হয়েছিল| যদিও এই যুক্তরাষ্ট্র কখনই গঠিত হয়নি, কারণ রাজ্যগুলি এই যুক্তরাষ্ট্রে যোগ দেয় নি|
2. প্রদেশে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা বর্জন করা হয় এবং প্রাদেশিক স্বশাসন প্রবর্তন করা হয়| প্রদেশগুলিকে তাদের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়| এছাড়া প্রদেশগুলিতে দায়িত্বশীল সরকার গঠনের কথা বলা হয়| অর্থাৎ গভর্নর, মন্ত্রিসভার পরামর্শ অনুসারে কাজ করবেন, আর মন্ত্রীসভা আইনসভার কাছে দায়বদ্ধ থাকবে| 1937 সালে এমন প্রাদেশিক সরকার গঠিত হয় এবং 1939 সালে তা পরিবর্তন হয়|
3. কেন্দ্রে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা গৃহীত হয়| এর ফলে federal list এর বিষয়গুলি reserved and trasferned এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়| যদিও এই ব্যবস্থা কোন দিনই কার্যকরী হয়নি|
4. 7টি মধ্যে 6টি প্রদেশে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা প্রবর্তিত হয়| এই অনুযায়ী বাংলা, বম্বে, মাদ্রাজ, বিহার, আসাম ও যুক্ত প্রদেশে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গঠিত হয়| উচ্চকক্ষ legislative council এবং নিম্নকক্ষ legislative assembly.
প্রাদেশিক সরকার উপর অনেক বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়|
5. সাম্প্রদায়িক নির্বাচন ব্যবস্থাটিকে আরও বাড়ানো হয়| এইবার depressed class এর জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা আনা হয়| এছাড়া মহিলা ও শ্রমিক উভয়ের জন্যও এই ব্যবস্থা আনা হয়|
6. 1858 সালের আইন অনুসারে গঠিত Council of India(ভারতীয় পরিষদ)বর্জন করা হয়| ভারত বিষয়ক মন্ত্রীকে একদল পরামর্শদাতা দেওয়া হয়|
7. ভোটাধিকার বৃদ্ধি করা হয়| মোট জনগনের 10% মানুষ ভোটাধিকার পায়|
8. রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্থাপন(RBI)হয়, যার মূললক্ষ্য ভারতের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থার পরিচালনা |
9. কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক ও যুগ্ম জনসেবা কৃত্যক স্থাপনের কথা বলা হয়| Central, State and joint public service commission.
10. যুক্তরাষ্ট্রের কোর্ট/বিচারালয় স্থাপনের কথা বলা হয়| যা 1937 সালে স্থাপিত হয়েছিল|
Indian Independence Act- 1947
ভারতের স্বাধীনতা আইন-1947.
1947 সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লেমেন্ট এটলী ঘোষণা করেন যে, 1948 সালের 30 শে জুনের মধ্যে ব্রিটিশ সরকার ভারত ত্যাগ করবে এবং দায়িত্বশীল হাতে ভারতের শাসন ভার অর্পন করা হবে|এই ঘোষণার পরে মুসলিম লীগ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং ভারত ভাগের জন্য উত্তেজনা সৃষ্টি করে|
1947 সালে 3 জন ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করেন সংবিধান সভা দ্বারা লিখিত সংবিধান দেশের সেই অংশে প্রযোজ্য হবে না, যে অংশ তা মেনে নিতে অস্বীকার করবে| এবং সেই একই দিনে ব্রিটিশ viceroy লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন ভারত ভাগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন| যা Mountbatten Plan নামে পরিচিত| এই পরিকল্পনা কংগ্রেস ও মুসলিম দ্বারা গৃহীত হয়|
ভারত স্বাধীন আইন পাশ করে এই Mountbatten Plan –কে তৎকাল কার্যকারী করা হয়|
এই আইনের বৈশিষ্ট্য:-
1. ভারতে ব্রিটিশ শাসন শেষ হয়| ভারত একটি স্বাধীন ও সার্বোভৌম রাষ্ট্র রূপে 1947 সালের 15ই আগস্ট আত্মপ্রকাশ করে|
2. ভারতের ভাগ হয় এবং দুটি স্বাধীন অধিরাজ্য (dominion) ব্রিটিশ কমনওয়েলথ থেকে বেরিয়ে যেতে পারে এমন অধিকার দেওয়া হলো|
3. viceroy এর পদ বিলুপ্ত হলো| উভয় অধিরাজ্যের(dominion)জন্য গভর্নর জেনারেলের পদ সৃষ্টি করা হলো, এই পদে ব্রিটিশ কর্তৃক নির্বাচিত হবে ঐ dominion-এর ক্যাবিনেটের পরামর্শ অনুসারে| ব্রিটিশ সরকার এই দুটি সরকারের কোন কাজের জন্য দায়ী থাকবেন না| দুটি দেশের গণ পরিষদ(constituend assembly)যে সংবিধান রচনা করবে তা দেশ দুটি গ্রহণ করতে পারে এবং ব্রিটিশ সংসদের যে কোনো আইন এমনকি স্বাধীনতা আইনটিকেও বাতিল করতে পারে|
4. দুটি দেশের গণ পরিষদের (constituent assembly) হাতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের অধিকার দেওয়া হলো| যতক্ষন না নতুন সংবিধান রচিত হচ্ছে| ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন এই দুটি অধিরাজ্যে প্রযোজ্য হবে না, যদি না সংশ্লিষ্ট অধিরাজ্য সেই আইনটি নিজেদের আইন সভায় পাশ করে|
5. ভারত বিষয়ক মন্ত্রী পদটি বিলুপ্ত করা হয় এবং তার কাজ ও দায়িত্ব দেওয়া হয় কমনওয়েলথ অ্যাফেয়ার্স –এর মন্ত্রীকে|
6. ভারতের দেশীয় রাজাদের সাথে উপজাতিদের সাথে সম্পাদিত সমস্ত চুক্তি ও ভারতে ব্রিটিশদের সমস্ত সার্বভৌমত্ব বাতিল/তামাদি বলে ঘোষিত হলো|
7. দেশীয় রাজ্য গুলিকে ভারত বা পাকিস্তানের সাথে যোগ দেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয় অথবা স্বাধীন থাকার অধিকার দেওয়া হয়|
8. যতদিন না পর্যন্ত dominion গুলির সংবিধান রচিত হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ভারত শাসন আইন 1935 অনুযায়ী dominion গুলি কাজ কর্ম চালাতে পারে অবশ্যই প্রয়োজন অনুসারে আইন গুলিকে বদলে নিয়ে|
9. ব্রিটিশ রাজ্যের ভারত ও পাকিস্তান সংক্রান্ত বিষয়ে ভেটো দেওয়া বা কোন আইনের খসড়া (bill)তার জন্য আটকে রাখার ক্ষমতা লোপ পেল বরং এই ক্ষমতা গভর্নর জেনারেলকে দেওয়া হলো| গভর্নর জেনারেল রাণীর নামে যে কোন বিলকে সম্মত্তি প্রদান করতে পারে|
10. গভর্নর জেনারেল ও প্রাদেশিক গভর্নর গুলিকে সংশ্লিষ্ট আইন সভার মন্ত্রীদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করার কথা বলা হয়| ওদের নামমাত্র বা সাংবিধানিক প্রধান করে রাখা হয়|
11. ইংল্যান্ডের রাজার উপাধি থেকে থেকে ‘ভারত সম্রাট’ কথাটি বাদ দেওয়া হয়|
12. ভারতের জনসেবা কৃত্যকের জন্য (public service)নিযুক্ত এবং ভারত বিষয়ক মন্ত্রী কর্তৃক পদের সংরক্ষন বন্ধ করে দেয়| 15 আগস্ট, 1947 আগে যারা নিযুক্ত হয়েছেন তারা চাকরির অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন|
13. 14/15 আগস্টের মধ্যরাত্রির ঘন্টাবাজার সাথে সাথেই ভারতে ব্রিটিশ শাসন শেষ হলো, ক্ষমতার হস্তান্তর হলো, এবং দুটি স্বাধীন অধিরাজ্য(dominion)গঠিত হলো|লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল, তিনি স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে শপথ বাক্য পাঠ করান|
1946 সালে গঠিত ভারতের গণপরিষদ স্বাধীন ভারতের প্রথম সংসদ হিসাবে কাজ শুরু করল|
Click here to Download
Sir president ta link ta dile upokrito hotam ota download korte parchi na . Apnar ai osadharon kajer jonno donnobad .ar making of the constitution ta dile khub upokrito hotam
ReplyDeletedarun..plz aro upload krun
ReplyDelete